চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর দুই পয়েন্টে নির্মিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি রাবার ড্যাম এলাকাকে নিরাপত্তা জোনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে নীতিগত ভাবে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর রাবার ড্যাম এলাকায় ইতোমধ্যে জরিপ কাজ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন। বুধবার সকালে নদীর দুই পয়েন্টে নির্মিত রাবার ড্যাম দুটির প্রস্তাবিত (কেপিআই) জরিপ কাজের স্থান পরির্দশন করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো.সাখাওয়াত হোসেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি চকরিয়ায় এসে প্রথমে পরির্দশন করে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা পয়েন্টে নির্মিত রাবার ড্যামের অবকাঠামো ও আশাপাশের স্থান। এরপর দুপুরে তিনি পরির্দশন করে নদীর অপর পয়েন্টে বরইতলী ইউনিয়নে নির্মিত বাঘগুজারা রাবার ড্যাম।
পরির্দশনকালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর অপরাধ) সমিত্র চাকমা, চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো.কামরুল আজম, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম, চকরিয়া শাখা কর্মকর্তা তারেক বিন সগীর, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ সালাহউদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন বলেন, পালাকাটা পয়েন্টের রাবার ড্যামের পাশেই উপজেলার চিংড়িজোনের অবস্থান। এখানে হাজার হাজার চিংড়ি প্রকল্প রয়েছে। প্রতিবছর এই চিংড়ি জোন থেকে হাজার কোটি টাকার মাছ উৎপাদন হয়। কিন্তু আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোন না থাকার কারনে প্রতিবছরই ঘের মালিক ও চাষীরা জলদস্যু ও ডাকাতদের তান্ডবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার পুলিশ বিভাগের মাধ্যমে এতদিন পর হলেও রাবার ড্যাম এলাকাকে নিরাপত্তা জোনে উন্নীত করার যেই সিদ্বান্ত নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দারি রাখে। এটি বাস্তবায়ন হলে চকরিয়া জনপদের হাজারো ঘের মালিক এবং চাষীকে আগামীতে নিরাপত্তা নিয়ে সংকিত থাকতে হবেনা।
পাঠকের মতামত: